স্কুলশিক্ষক পান্নার ধর্ষণের শিকার হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক স্কুলছাত্রী। কৌশলে করেছে ভিডিও চিত্র। তা ভিডিও করে ছেড়ে দিয়েছে ইন্টারনেটে। হেলাল উদ্দিন ওরফে পান্না মাস্টার ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে. এসব ছাত্রীদের অনেকের সঙ্গে মেলামেশার গোপন ভিডিও চিত্র ধারণ ও তা ছড়িয়ে দেয়ার কথাও জানিয়েছে সে. ঘৃন্য এ কাজে জড়িত অন্য সহযোগিদেরও নাম প্রকাশ করেছে পান্না. শনিবার রাতে হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ. রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে কুষ্টিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে. পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পান্না মাস্টার বেশ কিছু দিন ধরে ঢাকায় আত্মগোপন করেছিল. মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে
পান্না মাস্টারের গ্রেপ্তারের বিষয় বিস্তারিত জানানো হয়েছে. ঢাকা মহানগর পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ার আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গনিত বিষয়ের শিক্ষক ছিল এই পান্না মাস্টার. প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে অসংখ্য ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলতো. সহযোগীদের সহায়তায় গোপন ক্যামেরায় ধারণ করতো সেই অবৈধ সম্পর্কের রগ রগে দৃশ্য. এরপর ওই ছাত্রী ও পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করতো. এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে. ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে পান্নাকে হস্তান্তর করা হয়েছে. মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, পান্না মাস্টারের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আরও 3-4 জনের নাম - পরিচয় পাওয়া গেছে. তাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সহায়তা চাইলে করা হবে. গোয়েন্দারা জানান, পান্না মাস্টার ও তার সহযোগীদের হেফাজতে বিভিন্ন ছাত্রীর যৌন সম্পর্কের অসংখ্য ভিডিও চিত্র আছে. সেগুলো উদ্ধার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ. ইতিমধ্যে কিছু ভিডিও চিত্র উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ. সূত্রমতে, পান্না মাস্টার কুষ্টিয়া থেকে পালানোর আগে নিজের ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার গর্ত করে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখে. ধারণা করা হচ্ছে - ওই কম্পিউটারে তার অপকর্মের সকল তথ্য - প্রমাণ আছে. এছাড়া তার সহযোগীদের কাছেও অপ্রাপ্ত বয়সী ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও আছে. যদিও বেশ কয়েকটি ভিডিও দৃশ্য বাজারে ছেড়ে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা. পুলিশ পান্নার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ জব্দ করেছে. ওই ল্যাপটপেও ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করার দৃশ্য ধারণ করা আছে. লম্পট এই শিক্ষকের হীন কর্মকা - ের খবর প্রকাশ হয়ে পড়লে তার গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে. কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ.